উদয় সিং,জামুড়িয়া : পরকীয়ায় জড়িত সন্দেহে এক সিভিক পুলিশকে (policeman) ইলেকট্রিক পোলে বেঁধে গণধোলাই দিল স্থানীয়রা।এরপর ওই সিভিক পুলিশকে উদ্ধার করতে এসে কালঘাম ছুটল পুলিশ এর। পুলিশ এবং সাংবাদিকদের হেনস্তা করার অভিযোগ উঠলো কিছু স্থানীয় যুবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ওই সিভিক পুলিশ (policeman) এবং মহিলাকে আটক করেছে জামুরিয়া থানার অন্তর্গত শ্রীপুর ফাঁড়ির পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল পৌরনিগমের জামুরিয়া থানার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বোগড়া কলোনি এলাকায় । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।স্থানীয়দের অভিযোগ ওই মহিলাটির স্বামী রাত্রে কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পর অভিযুক্ত সিভিক পুলিশ (policeman) প্রায় দিনই আসত তার বাড়িতে। কিন্তু অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি সিভিক পুলিশ হওয়ার জেরে স্থানীয়দের রীতিমতন শাসাতেন যাতে তারা এই পরকীয়ার বিরুদ্ধে আওয়াজ না তোলেন বলে জানান এক স্থানীয় বাসিন্দা। কিন্তু দিনের পর দিন ওই সিভিক পুলিশ ও মহিলার পরকীয়া রীতিমতন স্থানীয় এলাকায় প্রভাব ফেলতে শুরু করে শুক্রবার রাত থেকে ওৎপেতে বসেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সাত সকালে মহিলার ঘর থেকে চুপি চুপি বের হতেই হাতেনাতে ধরে ফেলে ওই সিভিক পুলিশ কে। এরপর ওই সিভিক পুলিশকে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বেঁধে রাখে স্থানীয় বাসিন্দারা । তারপর শুরু হয় ব্যাপক গণধোলাই বলে অভিযোগ। আক্রান্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারকে উদ্ধার করতে এসে হেনস্তার শিকার হতে হয় জামুরিয়া থানার পুলিশক এবং যার সাথে সাংবাদিকদেরকেও।ঘটনা এতটাই সাংঘাতিক আকার নেয় যে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় পুলিশের সঙ্গে । পরে জামুরিয়া থানার বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে । সিভিক ভলেন্টিয়ার ও মহিলাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় ।
এই ঘটনার জেরে প্রচুর সংখ্যক স্থানীয়রা ভিড় জমান। মানা হয়নি কোন সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যেভাবে জামুরিয়া এবং রানীগঞ্জে প্রতিদিন মহামারী আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তারপর দেখা গেল না সামাজিক দূরত্ব ? নেই মুখে মাস্ক ? এই ঘটনায় একাধিক মানুষের ভিড়ে কোরোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েই গেল ?