শুভময় পাত্র , বীরভূম: পরনে পাঞ্জাবি, সাদা পাজামা , মুখে মাস্ক … সাইকেলে করে কয়েকজন রবিবার ঘুরে বেড়ালেন শান্তিনিকেতনের আনাচে-কানাচে । আশ্রম চত্বর থেকে শুরু করে আশ্রমিকদের বাড়ি ঘুরলেন , শুনলেন জনমত । না এই সফর নিছকই ঘুরে বেড়ানোর জন্য নয় , আসলে শান্তিনিকেতনের প্রাচীর বিতর্ক-এর তদন্ত করতে শান্তিনিকেতনী কায়দায় দেখা গেল বীরভূম জেলা পুলিশকে (Birbhum Police) ।
শান্তিনিকেতন পৌষ মেলার মাঠ ঘেরাকে কেন্দ্র করে গত ১৫ ই আগস্ট থেকে শান্তিনিকেতনে যে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে তাতে বিচলিত সবাই। রাজ্য সরকার থেকে শুরু করে কেন্দ্র সরকার সকলেই এখন এই বিষয়কে কেন্দ্র করে কি সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত এবং কি করা হবে তা ঠিক করে উঠতে পারেনি। আর তারই মাঝখানে আনুষাঙ্গিক অনেক ঘটনাও ঘটে গেছে মেলার মাঠ খেলাকে কেন্দ্র করে । ঢুকেছে রাজনীতি, বেড়েছে ব্যক্তিগত আক্রোশ সব মিলিয়ে শান্তিনিকেতনের পরিবেশ এখন এক অন্যরকম চেহারা নিয়েছে। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বীরভূম জেলা পুলিশের (Birbhum Police) পক্ষ থেকে এদিন অভিনব কায়দায় তদন্ত শুরু করা হল।
রবিবার সকালে পাজামা পাঞ্জাবি পড়ে সাইকেলে করে শান্তিনিকেতন আশ্রম চত্বর ঘুরে বেড়ালেন বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিং । এদিন তিনি আশ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন, পৌষ মেলার মাঠ ঘিরে ফেলাকে কেন্দ্র করে কার কি মতামত সেবিষয়ে আলোচনা করেন। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বোলপুর সাব ডিভিশন পুলিশ অফিসার ও শান্তিনিকেতন থানার অফিসার ইনচার্জ কস্তুরী মুখার্জি সহ আরো অন্যান্যরা । সকলেরই পোশাক ছিল নজরকাড়া । খাকি উর্দি ছেড়ে পাজামা পাঞ্জাবী আর মহিলা পুলিশকর্মীরা সালোয়ার কামিজ পরে সাইকেলে চালিয়ে (Birbhum Police) পুলিশ সুপারের সঙ্গ দেন ।
শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলার মাঠ ঘেরাকে কেন্দ্র করে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে , তা যেমন শান্তিনিকেতনের ইতিহাসে সম্মরণীয় হযে থাকবে তেমনি বীরভূম পুলিশের (Birbhum Police) এদিনের তদন্ত অভিযান প্রক্রিয়াও নজিরবিহীন হয়ে থাকবে এদিন সাইকেল চালিয়ে তদন্তকারীরা হাজির হয়েছিলেন বিভিন্ন প্রবীণ আশ্রমিকের বাড়িতে । যারা বহু বছর ধরে শান্তিনিকেতনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত । পৌঁছে গিয়েছিলেন বিশ্বভারতীর পাঠভবনের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সুপ্রিয় ঠাকুরের বাড়িতেও। জেলা পুলিশ সুপারকে কাছে পেয়ে সকলেই জানিয়ে দেন, যে শান্তিনিকেতন পৌষ মেলার মাঠকে প্রবীণ আশ্রমিকরা কেউই চাইনা ইট-কাঠ-পাথরের কংক্রিটে বদ্ধ করা হোক। কারন এই মাঠ তাদের আবেগের ।