ডিজিটাল ডেস্ক, জেলার খবর: আজ, মহাসপ্তমী। পুজোর (Durga Puja) শুরু। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রীতি মেনে নবপত্রিকা স্নানের মধ্যে দিয়ে শুরু হল সপ্তমীর সকাল। বিধিবদ্ধভাবে কলা বৌকে স্নান করিয়ে নতুন কাপড় পড়িয়ে শাস্ত্রানুসারে পুজো করা হয়।
সপ্তমীর সকালে শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন পুকুর-নদীতে কলা বৌ বা নবপত্রিকা স্নান করিয়ে পুজো (Durga Puja) করতে দেখা যায়। দেবীর নয় রূপ এই নবপত্রিকার মধ্যে বিরাজমান তাই দূর্গা আরাধনার আগে নবপত্রিকার পুজো করা হয়।
পুকুরে বা নদীতে নবপত্রিকাকে স্নান করানোর পর তাকে পালকি বা দোলাতে চাপিয়ে পুজো মন্ডপে নিয়ে আসা হয়। এরপর ঘট বসিয়ে সঙ্কল্প ৷ ফলনের দেবী হিসেবে মহা–সপ্তমীতে দুর্গাপুজো (Durga Puja) হয়। অন্যান্য আরও ৮টি গাছের সঙ্গে বেল গাছের শাখা কেটে রাখা হয়। বলা হয়, ষষ্ঠীর রাতে এই বেল গাছের শাখাতেই দেবী নেমে এসেছিলেন ও সারা রাত বিশ্রাম নিয়েছিলেন। এই নয়টি গাছের শাখাকে স্নান করিয়ে পুজোর জায়গায় নিয়ে আসা হয় এবং এর পরেই মাটির প্রতিমায় হয় প্রাণ প্রতিষ্ঠা।
পুরোহিত ননীভূষণ আচার্য্য জানান , দেবীর নয় রূপ কলাবৌ বা নবপত্রিকার মধ্যে বিরাজমান তাই নবপত্রিকাকে দেবী জ্ঞানে পুজো করা হয়। কোভিড কাঁটা পুজোর উদযাপনে বাধ সাধলেও নবপত্রিকার স্নান ও পুজো (Durga Puja) দেখতে উদ্দীপনা দেখা গেল শিল্পাঞ্চলে।