নরেশ ভকত, বাঁকুড়াঃ এমনিতেই বুনো শুয়োরের জন্য সারাবছরই কমবেশি ক্ষতির মুখে পড়তে হয় চাষীদের। তার উপর গত কয়েকদিন ধরে সোনামুখী (Sonamukhi) জঙ্গলে চল্লিশটি হাতির একটি দল তাণ্ডব চালাচ্ছে। এরফলে রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন সোনামুখী (Sonamukhi) জঙ্গল লাগোয়া বুড়িআঙ্গারি, মহেশপুর, মানিক বাজার, কওরাশলি সহ বিস্তীর্ণ এলাকার সাধারণ মানুষ । পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন এই সমস্ত এলাকার ধান চাষীরা । বিঘার পর বিঘা ধান জমি নষ্ট করে দিচ্ছে হাতির এই দলটি । চল্লিশটি হাতির এই দলটিকে কাবু করতে, রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে সোনামুখী (Sonamukhi) বনদপ্তরের আধিকারিকদের । বিঘার পর বিঘা পাকাধান, এভাবে নষ্ট হলে ঘরে ধানই তুলতে পারবেন না তারা । ফলে আগামীদিনে সংসার কিভাবে চলবে তাই ভেবেই হিমশিম খেতে হচ্ছে এলাকার ধান চাষীদের । এছাড়াও সন্ধ্যা হলেই একরাশ আতঙ্ক গ্রামবাসীদের তারা করে বেড়াচ্ছে । সন্ধ্যার পর বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারছেন না। সবসময়ের আতঙ্ক,না জানি কোন সময় কোন বিপদের সম্মুখীন হতে হয় তাদের ।
ধান চাষী স্বপন ঘোষ, অমর লোহার বলেন , “একদিকে বুনো হাতি অন্যদিকে বুনো শুয়োরের জন্য ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের । রাতের বেলা বুনো শুয়োর ধান খেয়ে নিচ্ছে ।” এছাড়াও তারা জানান “চাষবাস করেই আমাদের সংসার চলে। এভাবে ধানের ক্ষতি হলে আগামী দিনে ছেলে মেয়েদের নিয়ে সংসার চলবে কি করে” । দিব্যেন্দু ঘোষ নামে এক গ্রামবাসী বলেন , “এই মুহূর্তে আমরা দারুন আতঙ্কে রয়েছি । সন্ধ্যা হলেই আমরা বাড়ির বাইরে বের হতে পারছি না তাই বনদপ্তর আরো একটু বেশি সতর্ক হলে খুবই ভালো হয়” ।
সোনামুখী বনাধিকারিক দয়াল চক্রবর্তী বলেন , চাষীদের ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সরকারি ভাবে তাদের সেই ক্ষতিপূরণ যত দ্রুত দেওয়া যায় আমরা তার চেষ্টা করছি ।