সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, জেলার খবর, কাঁকসা : কাঁকসা থানা থেকে মাত্র ঢিল ছোড়া দূরত্বে অষ্টমীর রাতে এক গৃহবধূর শ্লীলতাহানিকে (Indecency) কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো এলাকায়। উত্তেজনার পারদ আরও চড়ে, যখন পুলিশ অভিযোগ নিতে টালবাহানা করে। এই ঘটনাকে (Indecency) কেন্দ্র করে দীর্ঘক্ষণ উত্তেজিত হয়ে থাকে কাঁকসা থানা চত্বর।
সূত্রের খবর, স্থানীয় এক গৃহবধূ, অষ্টমীর রাতে পাশেই থাকা তার বোনের বাড়ি থেকে পায়ে হেটে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন। ঠিক সেই সময়ই দুই দুষ্কৃতী তার ওপর চড়াও হয়। প্রথমে তাকে পেছন দিক থেকে জাপটে ধরে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর তার মুখ বেঁধে ফেলার চেষ্টা করে ওই দুই দুষ্কৃতী। অভিযোগ, এরমধ্যে এক দুষ্কৃতী ওই মহিলার মাথায় লোহার কিছু বস্তু দিয়ে আঘাত করে।
ঘটনার (Indecency) আকস্মিকতা কাটিয়ে এরপর প্রাণে বাঁচার তাগিদে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। ওই এলাকাতেই মহিলার বাড়ি হওয়ার সুবাদে, মহিলার চিৎকার শুনে বেরিয়ে আসেন বাড়ির লোকজনের। সুযোগ বুঝে এক দুষ্কৃতী চম্পট দিতে সক্ষম হলেও, অন্য জনকে হাতে-নাতে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। এরপর চলে গণপ্রহার।






স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই যুবক চরম মাত্রায় নেশা করে ছিলেন। বেশ কিছুক্ষণ মারধর করার পর স্থানীয়রা অভিযুক্ত ওই যুবককে পুলিশ এর হাতে তুলে দিতে কাঁকসা থানায় আসেন। আর এরপরই সম্পূর্ণ অন্য এক রূপ নেয় এই ঘটনা। উল্লেখ্য, থানার এক আধিকারিক এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্যাতিতার পরিবারকেই শাসাতে থাকেন। এমনকি প্রথমে কোন-রকম লিখিত অভিযোগ নিতেই চায়নি পুলিশ বলে অভিযোগ।
যদিও স্থানীয়দের চাপের মুখে পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্থানীয় এক বাসিন্দার দাবি, প্রতিনিয়তই এই এলাকা সন্ধে নামার পর থেকেই একপ্রকার নেশারুদের আড্ডার আঁতুড়ঘরের চেহারা নেয়। তাতেও কোনরকম হেলদোল নেই স্থানীয় প্রশাসনের। এ বিষয়ে বহুবার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোন এক অজ্ঞাত কারণে নীরব দর্শকের ভূমিকা নিচ্ছে প্রশাসন। অন্য্ এক বাসিন্দার অভিযোগ, বহুবার রাস্তায় আলো লাগানো হলেও, দুষ্কৃতীরা দু’দিনের মধ্যেই ভেঙে ফেলে ওই বাল্ব। স্থানীয় পুলিশ এর পক্ষ থেকে কোন রকমের টহলদারী ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা গেছে যে পুলিশ নির্যাতিতার মেডিকেল চেকাপ করানোর পর একটি লিখিত অভিযোগ নিয়েছে। ওই লিখিত অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে অন্য্ একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।