উদয় সিং , চিত্তরঞ্জন: করোনার কারনে লকডাউন জারির পর থেকেই শহরে ঢোকার ১ নম্বর ও ৩ নম্বর গেট সহ ছোট ছোট পকেট গেটগুলি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল চিত্তরঞ্জন রেল প্রশাসন । কিন্তু লকডাউন উঠে যাওয়ার পর ১ নম্বর ও ৩ নম্বর গেট খোলা হলেও,খোলা হয়নি উত্তরামপুর জিৎপুর পঞ্চায়েত অন্তর্গত নামোকেশিয়া কালীমন্দির ও রামকৃষ্ণ পাঠাগারের সামনের পকেট গেট । ফলে সমস্যায় পড়েছেন ওই পথে যাতায়াতকারীরা । প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধে (Block) সামিল হলেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের বক্তব্য, চিত্তরঞ্জন রেল কারখানা স্থাপিত হওয়ার সময় থেকে এই দুটি গেট করা হয়েছিল। কিন্তু করোনার জেরে কিছু দিনের জন্য চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষ সমস্ত গেট বন্ধ করে দেয় । কিন্তু পরবর্তীতে ১ নম্বর ও ৩ নম্বরের মুখ্য গেট খুলে দেওয়া হলেও এই দুটি পকেট গেট এখনো খোলা হয়নি । এই পকেট গেট দিয়ে প্রচুর মানুষ চিত্তরঞ্জন শহরে আসা যাওয়া করেন,কারণ এই দুটি গ্রামের মুখ্য রাস্তাই হল এই দুটি পকেট গেট।
পকেট গেট বন্ধ থাকায় ব্যাবসায়ী থেকে শুরু করে বাচ্চা-বুড়ো সকলকে প্রায় ৬ কিলোমিটার ঘুরে চিত্তরঞ্জন শহরে যেতে হচ্ছে, ফলে অসুবিধা হচ্ছে তাদের। বারবার এই অসুবিধার কথা চিত্তরঞ্জন প্রশাসন, সালানপুর বিডিও,চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষকে এবং উত্তরামপুর জিৎপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা । কিন্তু এখনো সমাধান হয় নি । তাই শুক্রবার বাধ্য হয়ে উত্তরামপুর জিৎপুর প্রধান তাপস চৌধুরীর নেতৃত্বে চিত্তরঞ্জন মুখ্য গেট আটকে রাস্তা অবরোধ (Block) করেন স্থানীয়রা । এই কর্মসূচিতে পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে ছিলেন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বন্দনা মন্ডল, সদস্য সুজিত মোদক, রাসমণি বেশরা, সুকুমনি টুডু, শকুন্তলা মারান্ডি,সমাজসেবী তাপস মন্ডল সহ আরো অন্যান্যরা।
পঞ্চায়েত প্রধান তাপস চৌধুরী স্থানীয়দের সাথে কথা বলে তাদের অসুবিধার কথা শুনে লিখিত স্বারকলিপি তুলে দেন চিত্তরঞ্জন রেল কারখানার জি. এম হাতে। পঞ্চায়েত প্রধান জানান, পকেট গেট বন্ধ থাকায় সমস্যায় মধ্যে আছেন স্থানীয়রা। গ্রামবাসীদের সুবিধার্থে আমরা আজ লিখিতরূপে একটি স্বারকলিপি জমা দিয়েছি চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষকে, তারা আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত তাদের এই পকেট গেট খোলা হবে । আর যদি তা না হয় তবে আমরা বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবো । এদিনের রাস্তা অবরোধের (Block) ফলে প্রায় ৩০ মিনিটের জন্য যানজটের সৃষ্টি হয় এলাকায়।