শুভময় পাত্র, বীরভূম: বোলপুরে এসে নাম না করে বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতিকে ‘ক্রিমিনাল’ (Criminal) বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপি রাজ্য সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বোলপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এই মন্তব্য করেন রাঢ়বঙ্গের বিজেপির পর্যবেক্ষক।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সাহসের সঙ্গে নির্বাচনী কাজকর্ম করার উদ্দেশ্যে দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে এবং বীরভূমের বুকে ভয় না পেয়ে নাম না করেই অনুব্রত মণ্ডলকে ‘ক্রিমিনাল’ (Criminal) বলে কটাক্ষ করলেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলে তোপ দাগেন বিজেপির এই নেতা । তিনি এদিন জানান, ১০ আগস্ট অর্থাৎ আজ থেকে বিজেপি সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজ্য জুড়ে সদস্য সংগ্রহের কাজ শুরু করবে বিজেপি । আর সেই কারণেই রবিবার দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে বীরভূমে আসেন রাঢ়বঙ্গের দায়িত্ব প্রাপ্ত বিজেপির এই নেতা ।
দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে বীরভূমের রাজনৈতিক পরিস্থিতির খোঁজ নেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক সম্মেলন করে, নাম না করেই অনুব্রত মণ্ডলকে আক্রমণ করেন । বলেন, “বীরভূমে যিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি ক্রিমিনাল (Criminal) । বিজেপি হিংসার রাজনীতি করে না, করলে এখানে কোনও নেতা থাকত না।” বীরভূমে একের পর এক বিজেপি নেতা-কর্মীর মৃত্যুতেও শাসকদলকেই এদিন কাঠগড়ায় দাঁড় করান তিনি। এবং তিনি আরও বলেন ভবিষ্যতে যখন তারা ক্ষমতায় আসবেন তাদের সবকটাকে জেলে ঢোকাবেন।
অন্যদিকে , রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় জানান, “কে এল কে গেল তাতে আমার কিছু এসে যায় না। এ বিষয়ে আমি কিছুই বলব না। ওকে হিরো বানিয়ে আমার লাভ নেই। পালে গরু-ছাগল আসে, চড়ে, সেও চড়ে চলে যাক না। তাতে আমার কিছু এসে যায় না।”
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন থেকেই বীরভূম জেলায় রীতিমত সাজো সাজো রব আর সেটা ঠিকঠাকভাবে সাজাতেই বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা ইতিমধ্যেই তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু পিছিয়ে নেই তৃণমূল কংগ্রেস শিবিরও। তারাও কিন্তু এবার অন্যরকম চিন্তাভাবনা নিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের কাজকর্ম ও দলীয় কর্মীদের উৎসাহ দিতে শুরু করেছেন ।