উদয় সিং,আসানসোল,জেলার খবর : গত ১৯ শে জুলাই থেকে রানীগঞ্জের দুটি ওয়ার্ডকে সম্পূর্ণ লকডাউন করার পর শনিবার তা সাত দিনে পড়েছে। এক সপ্তাহের সেই লকডাউন এর সময়সূচী শেষ হচ্ছে শনিবারই। এই বিষয়কে নজরে রেখে রানীগঞ্জ শহরের মানুষজনদের করোনা সংক্রমণ থেকে দূরে রাখার লক্ষ্যে, এবার ‘ভয়েজ লেস’ নামক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা, পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় রানীগঞ্জের বেশ কয়েকটি এলাকায় বিভিন্ন সচেতনতামূলক (awareness) ছবি এঁকে মানুষজনেদের সচেতন (awareness) করার উদ্যোগ নিল। করোনা ভাইরাসের আদলে এক ছবি এঁকে তাতে বিভিন্ন উপদেশ তুলে ধরলো ওই সংগঠনের সদস্যরা। মাস্ক পরে বাইরে বেরোনো, সামাজিক দূরত্ব বজায় ও বাইরে থেকে কেউ এলে ১৪ দিন হোম করেন্টাইন থাকা, হাতকে ভালোভাবে ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করা সহ একাধিক বিষয় তারা তাদের ছবির মধ্যে তুলে ধরে।
বর্তমানে রানীগঞ্জের রাস্তা এমনিতেই ফাঁকা, এই কয়েকটা দিন নির্জন নিস্তব্ধ রানীগঞ্জ খনি অঞ্চল। আর শনিবার সাপ্তাহিক লক ডাউনের দ্বিতীয় দিন হওয়ায় এই দিন ছিল একেবারে শুমশান গোটা শহর। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রং তুলির টানে বিভিন্ন বিষয় ওই সংস্থার শিল্পীরা রাস্তার উপর আঁকিবুকি করে মানুষজনদের সচেতন (awareness) করার উদ্যোগ নিল। এ ধরনের কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রানীগঞ্জ কো-অপারেটিভ ব্যাংকের চেয়ারম্যান গোপাল আচার্য , তিনি জানান এই সকলের মধ্যে দিয়ে সমাজে একটা আলাদা ম্যাসেজ দেওয়া সম্ভব হবে।
একইভাবে এই এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ট্রাফিক ওসি প্রসেনজিৎ বসাক। তিনি ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ভূয়শী প্রশংসা করেন। এই সংস্থার পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই রানীগঞ্জের বেশ কয়েকটি উন্নয়নমুখী কাজ করতে দেখা গেছে। বিশেষ করে রানীগঞ্জের যে সকল স্ট্রিট ডগ,বা রাস্তার কুকুর রয়েছে তাদের প্রতিদিনই এই সংস্থার সদস্যরা এই লকডাউন এর সময় কালে খাবার দেওয়ার সাথেই, চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য উদ্যোগ নেন। পাশাপাশি কোন কুকুর অসুস্থ হয়ে গেলে বা কোন প্রাণী অসুস্থ হতে দেখলে সংস্থার সদস্যরা ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে সুস্থ করতে। যা লক্ষ্য করে রানীগঞ্জের মানুষ ভয়েজ লেস নামক এই সংস্থা কে নিজেদের সংস্থা বলে ভাবতে শুরু করেছে।